শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঈশ্বরদী পাবনা:
পাবনার ঈশ্বরদীতে উৎপাদিত অবৈধ ঘোষিত বিপুল পরিমান পলিথিনসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে কাশিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এসময় তাদের সাথে থাকা অবৈধ পলিথিন বহনকারী একটি কার্ভাড ভ্যান আটক ও ভ্যানে থাকা বিপুল পরিমান পলিথিন জব্দ করেছেন । গত ৬-ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার ২০২২ সাঁথিয়া থানা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি অভিযান দল ৪০ কেজির মোট ১৬৬ টি বস্তা উদ্ধার করেন। যার আনুমানিক ওজন ১৬৬ মন বাজার মূল্য প্রায় ১৪ লাখ টাকা । এসময় অবৈধ পলিথিন বহন করার দায়ে পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন চরকান্দি গ্রামের মো. সাত্তার আলীর ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৪০) এবং ঈশ্বরদী থানাধীন মশুড়িয়া পাড়া এলাকার মো. আঃ রাজ্জাকের ছেলে মো. লিখন (২৬) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাশিনাথ পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই তোজাম্মেল জানান, ঈশ্বরদী উপজেলাধীন শিপন প্যাকেজিংয়ের অবৈধ পলিথিনসহ দুইজনকে এবং বহনকরা একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত পলিথিন জব্দ দেখিয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-0৫, তাং-০৬-১০-২০২২ইং।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের (১৮এপ্রিল) দুপুরে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার শৈলপাড়ায় শিফনের অবৈধ পলিথিন কারখানায় অভিযান চালিয়ে পলিথিন কারখানার মালিক শৈলপাড়া এলাকার মো. নওফেল মালিথার ছেলে মো. শিপনকে গ্রেফতারসহ তার কারখানা সিলগালা করে দেন পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার সে সময় এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছিলেন, দীর্ঘদিন থেকে শিপন অবৈধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিলেন। পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে সত্যতাও মেলে। এসময় অভিযান চালিয়ে পলিথিন তৈরির কাঁচামাল, সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ। এসময় কারখানার মালিক শিপনকে আটক করা হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে শিপন তার এই অবৈধ এবং নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন এবং বাজারজাত বৃদ্ধির লক্ষে নতুন করে আরও কয়েকটি বিদেশী অত্যাধুনিক মেশিন সংযুক্ত করেছেন তার কারখানায় এবং পূর্বের চেয়েও অধিক পরিমান উৎপাদন করে নিষিদ্ধ পলিথিনে বাজার সয়লাব করে চলেছে বীরদর্পে। পরিবেশের জন্য হুমকি এবং রাষ্ট্রে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই পলিথিন উৎপাদন এবং তার বাজার জাত করণ ব্যবসা শিপন কিভাবে নিবিঘ্নে করে যাচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনায় মগ্ন ঈশ্বরদীবাসী। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কোন খুঁটির জোরে শিপন তার এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং প্রশাসন কি এদের অবৈধ মেশিনারীজ ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ? এদিকে জানা যায়, ঈশ্বরদীর এক জনপ্রতিনিধির ছত্র ছায়ায় থেকে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসন কিছুিই করার ক্ষমতা রাখে না। পাবনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় অবৈধ পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাত করণ বন্ধ করতে পারে।